বাংলাদেশ-ভারতের দিকে ধেয়ে আসতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Yass) আগামী ২৬ মে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলীয় এলাকায় আছড়ে পড়বে। এসময় এই ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার। সঙ্গে থাকবে ভারী বৃষ্টিপাত।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর (আইএমডি) থেকে এ তথ্য জানিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতির পর্যালোচনা করতে নয়াদিল্লিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব রাজিব গৌবার নেতৃত্বাধীন জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির (এনসিএমসি) বৈঠক হয়েছে। এতে পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ঘূর্ণিঝড়ের হালনাগাদ নিয়ে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের মহাসচিব বলেন, বুধবার এটি যখন পশ্চিমঙ্গ ও উড়িষ্যার উপকূলে আঘাত হানবে, তখন বাতাসের গতিবেগ থাকবে প্রতি ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার। সঙ্গে দুই রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টি ও ব্যাপক বন্যা হতে পারে।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে ২৩ মের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। এ ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮৫ থেকে ২০০ কিলোমিটার।